কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন 1ম দিন: ঋষভ শেঠির ছবির দুর্দান্ত শুরু , কুলির রেকর্ড ভাঙতে ব্যর্থ

ঋষভ শেঠির কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন প্রথম দিনেই ৬০ কোটি রুপি আয় করেছে। দুর্দান্ত সূচনা করেও রজনীকান্তের কুলির রেকর্ড ভাঙতে ব্যর্থ। বিস্তারিত জানুন-

কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন এ প্রথম দিনেই ঝড়

ঋষভ শেঠি পরিচালিত কান্তারা চ্যাপ্টার 1 একটি অন্যতম আকর্ষণীয় মুভি। এই সিনেমাটি অবশেষে 2 অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে মুক্তি পেয়েছে। কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন প্রথম দুর্দান্ত সূচনা করেছে। সর্বশেষ আপডেট অনুসারে জানা যাচ্ছে যে কান্তারা চ্যাপ্টার 1 ভারতে ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে যা রজনীকান্ত অভিনীত সাম্প্রতিক ছবি কুলি এর কাছাকাছি।

২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কান্তারা সিনেমাটি এই বছরে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি গুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রথম ছবি কান্তারা (২০২২) দর্শকের মুখে মুখে প্রচারিত হয়ে ব্লকবাস্টার হয়েছিল। মুক্তির প্রথম দিনে আয় করেছিল মাত্র ২ কোটি টাকা, তবে শেষ পর্যন্ত ভারতে ৩০৯ কোটি এবং সারাবিশ্বে ৪০৭ টাকা আয় করেছিল। সেই সাফল্যের কারণেই দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া ।

কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন প্রথম দিনে শো সংখ্যা ও দর্শক সংখ্যা

কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন এ ভারতে ৮,৮০০টির ও বেশি শো করেছে এইবারে।

• হিন্দি সংস্করণ: প্রায় ৪৭০০ শো, দর্শক সংখ্যা ৩০%।
• কন্নড় সংস্করণ: প্রায় ১৫০০ শো, দর্শক সংখ্যা ৮৮%
• তেলেগু সংস্করণ: প্রায় ১,০০০ শো, দর্শক সংখ্যা ৭০% এর বেশি
• তামিল সংস্করণ: প্রায় ৮৪০ শো, দর্শক সংখ্যা ৭০% এর বেশি
• মালায়ালাম সংস্করণ প্রায় ৬০০শো, দর্শক সংখ্যা ৬৫%এর বেশি

এই শো সংখ্যা এবং দর্শক সংখ্যা থেকে বোঝা যায় দক্ষিণ ভারতের দর্শকই ছবির আসল ভরসা।

কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বনাম রজনীকান্তের “কুলি “

কান্তারা চ্যাপ্টার 1 বক্স অফিস কালেকশন এর শুরুটা রজনীকান্তের “কুলি ” এর মতো ই প্রায় ভালো ছিল যা ভারতে প্রথম দিনে ৬৫ কোটি আয় করেছিল। তবে এটি পবন কল্যাণের “দে কল হিম”ওজি ছবির পোস্ট করা 63 কোটি রুপি আয়ের চেয়ে কম ছিল।কান্তারা চ্যাপ্টার 1 এর আয় প্রথম দিনে ৬০ কোটি হলে ও রজনীকান্তের কুলি কে ধরতে পারে নি । তবে তুলনায় কম প্রতিযোগিতা হলে ও দর্শকরা ছবিটি দেখার জন্য খুবই আগ্রহী ।

সঠিক চলাকালীন সময় দুর্ঘটনা ও দুঃখজনক ঘটনা

কান্তারা চ্যাপ্টার 1এর সিনেমাটি ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে তৈরি করা হচ্ছিল এবং এই তৈরি করার মাঝে ছবির সেটে অনেক দুর্ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তখনকার সময় জানা যাচ্ছিল কয়েক মাস আগে পরিচালক ঋষভ শেঠির সাথে থাকা প্রায় ৩০ জন কে বহনকারী একটি নৌকা নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। ভাগ্যের কারণে কোন প্রাণহানি বা কোন হতাহত হয়নি। ২০২৪ সালে পুরুষ সদস্যদের বহনকারী একটি বাস শুটিংয়ে যাওয়ার সময় উল্টে গিয়েছিল যার ফলে কয়েকজন আহত হয়। সেই সময় হোমমেইল ফিল্মসের বলেছিল যে ওই এক্সিডেন্টের আঘাতগুলি বেশি গুরুতর ছিল না। এর আগে ছবিটিতে কাজ করার সময় তিনজন শিল্পী মারা যায়। এরমধ্যে অভিনেতা রাকেশ পূজারী মৃত্যু ঋষভ শেঠির কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক বড় ক্ষতি ছিল।

ঋষভ শেঠি এক সাক্ষাৎকারে বলেন এটি মানব জীবনের ক্ষতি যাকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে মেলানো উচিত নয়। তবে এই ক্ষতি আমাদের সকলের জন্যই বিশাল। আপনি আরো বলেন আমরা যে তিনজনকে হারিয়েছি তাদের মধ্যে দুজন জুনিয়র শিল্পী ছিলেন এবং একজন আমাদের সেটের মধ্যে পৌঁছাতেও পারেননি তিনি পথে ছিলেন যখন তার কিছু স্বাস্থ্য ও তো সমস্যা দেখা দেয় এবং পরে আমরা জানতে পারি যে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং ময়নাতদন্ত হয়েছিল এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য ম্যানেজারকে পাঠিয়েছিলাম।

তিনি দ্বিতীয় মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে ঋষভ বলেছেন যে এটাও বাইরে ঘটেছিল। আমরা অন্য জায়গায় মহড়া করছিলাম সেখানে একটি মন্দির ছিল এবং কাছেই একটি নদী ছিল। সেখানে একটি বড় বোর্ড ছিল যেখানে লেখা ছিল যে এটি একটি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা কিন্তু তরুণরা সেখানে ঘুরে দেখতে চায় এবং দেখতে যাওয়ার পরে সেখানেই এই বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তিনি আরো আমাদের প্রিয় অভিনেতা রাকেশ পূজারীর মৃত্যুকে ও স্মরণ করেন। রাকেশ পূজারীর ক্ষতি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল ক্ষতি হিসেবে ধরা হয়। কারণ তিনি এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কান্তারা চ্যাপ্টার 1 সিনেমার শুটিং শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই রাকেশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

প্রযোজনা সংস্থার ধারাবাহিক সাফল্য

ছবি প্রযোজনা করেছে হোম্বালে ফিল্মস , যারা যারা এ বছরের শুরুতে মহাবতার নরসিংহ দিয়ে ২৫০ কোটি( ভারত )এবং ৩২৫ (বিশ্বব্যাপী) কোটি আয় করেছিল। তাই এই সিনেমাটি সাফল্য তাদের অন্য আরেকটি বড় অর্জন হতে চলেছে।

কান্তারা চ্যাপ্টার ১ বক্স অফিস কালেকশন প্রথম দিনেই ৬০ কোটি রুপি আয় করে প্রমাণ করে দিয়েছে এখনো দর্শকদের মনে অটুট জায়গা করে নিয়েছে।। যদিও এটি রজনীকান্তের কুলিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি তবুও দক্ষিণ ভারতের দর্শকদের বিপুল সারা ভবিষ্যতের দিনের জন্য বড় ইঙ্গিত দিচ্ছে।